খুব শান্তিমত একটা জীবন শুরু করতে চেয়েছিল সে , যার
শুরু থেকে শেষ কেবলি রঙ , তামাশা আর হাসি
কান্না নেই –নাই । কান্না শান্তির শত্রু । অথচ শান্তিতে প্রবেশের আগে
কে যেন বলেছিল তাঁর কানে কানে, এখানে কেবল ফুল্লরার জলের খেলা
জলকেলি আর কেলিজল । সে শান্তি দিয়েই শুরু করেছিল –তা দিয়েই
টানতে চেয়েছিল ইতি । ইতি তোমার কবিতা !
কবিতা নামের মেয়েদের বুকে নাকি কেবলই খেলা করে আগরবাতির
প্রেম প্রেম সুগন্ধ । ফুলের মত ! ফুলের দোকানে বড্ড ভিড় । সবাই তাজা
সতেজ সুগন্ধী ফুল খুঁজে ফেরে। দোকানী গ্রাহককে লুকিয়ে চুপিয়ে হেথায় জল ঢালে বারোয়ারী কলের জল । জলে নেই রোশনাই –ফুলে থাকে কি করে ?
যা হোক শান্তি শান্তি করে ধর্ম অধর্ম নিয়ে বেঁচে বর্তে ছিল সে
ট্যাবের জল ফুটিয়ে টুঁটিয়ে তৃষ্ণা মেটানো- অনেকদিন তা ঠাণ্ডা করারও সময় থাকে না ,দেহকে বুঝানো হতো- সব কিছু কি আর ঠায়ে ঠায়ে হয় ? হয় না ? কতজনেরই তো হয় !আহা , তুমি কি বিন্দুবাসিনী ঘরের নাতি ? তোমার পূর্ব –পুরুষ কি জমিদারের লাঠি বইত ? ফাঁকে ফোঁকরে নাই নাই করে তবু পেত অনেকখানি । তা যখন হবার নয় –তখন টেনে যাও কলুর বলদখানি !
হাম্বা হাম্বা বলদেরা আছে বেশ । শান্তি ?
দিনে মশা রাতে মাছি ।
রঙ তামাশা হাসি ? হাসি তামাশা রঙ ?
ফুল্ললার জলে আজ কবিতার নাইতে যাওয়ার কথা !!