গাঙের জলে যদি বয়সটাকে ভাসিয়ে দেয়া যেত , তবে তার মতো
অনেকেই নদীর পানিতে বয়স ভাসানোর খেলা খেলতে আসত ।
এ কি খুব কঠিন খেলা ? অহরহ কসরত । কিংবা যন্ত্রণা ?
ব্যথা বেদনা যাই হোক তারপরই তো আবার পুনঃ যৌবন !
যখন থাকে বয়স কেউ করে না তার কদর । কি এমন যাদু তার, তাই
আগাছার মতো বেড়ে ওঠে বয়স । ভরে উঠে জীবন আর ফুলে উঠে
মন পবনের নাও ! জানে না মানুষ সে হাসে নাকি বয়স হাসায় কিংবা কাঁদায়
ভরা জলে কি আর ঠিক পাওয়া যায় গভীরতা জলের !
এক সময় মনে হয় , আহা সেই সময়টাই ভালো ছিলো , সেই বয়স
সেই চিলে কোঠা ,সেই লুকোচুরি খেলা। আমের মুকুলে মালা গাঁথা
কাগজের নাও ভাসানোর বেলা ! কখন যে বেড়ে গেল বয়স । বেড়ে গিয়ে
থেমে গেল না ক্যান ! বোললনা কেন –এই হয়েছে ঢের , এখানেই পরুক যতি !
নিত্য সাথী কাঁচের আয়নাটাকে আজ মনে হয় বড় শত্রুর , নেই কোন
দয়া মায়া ! নেই কোন বন্ধুত্ব ! ঝুলে পড়া মুখটাকে আর একটু তরতাজা দেখালে
কি এমন হয় ক্ষতি তার । কি এমন হয় লোকসান সেথায় বসালে পুরনো মুখের আদল কচি , তাজা কিনবা ফাগুন আগুনময় !
এখন সব শেষ গন্তব্য স্থল বরষার জল ! নদীর জল । জল সাগরের । ওদের
জলে যাদু আছে । বাসি মুখটাকে জলের আঁচর পড়িয়ে অচীন প্রজাপতি করে
তুলতে ওদের নাকি জুড়ি নেই । তাই চল জলের স্রোতে বয়স ভাসিয়ে দেই !