অকাতর বৃষ্টিতে ভেজেনি সে বহুদিন । অকুণ্ঠ ইচ্ছে তবু
ভেজা হয়নি জলে ! জলসা জলের ছোঁয়া মাখেনি সে শরীরে । বৃষ্টির
জলদ শব্দ জলকল্লোল সুর তোলে দেহাতি মনে
শুদ্ধ সবুজ পাতাটির মতো , যে কেবল বেঁধেছে মুগ্ধ বাসা
গাছের সুঠাম শরীরে !
জলাবর্ত জল চাই। নাইতে জল ভেজা নদীর বুকে
এলিয়ে গাঙচিল শরীর ডানকানা মাছের, রেল লাইনের ধারে ।
নৃত্য বিহারিনী কলা পাতায় সদ্য বৃষ্টি ফোটার কারুকাজ ছুয়ে
কুমুদিনী টিপ এঁকে জানালায় দাঁড়াতে ইচ্ছে করে ভারী!
টিকটিকির গায়ে নেই জলের ছোঁয়া , কেবলই চলে রাতভর
ঠিক ঠিক সময়ের কাটা ধরে । ভুলে যেতে চায় সে সময়ের
কড়া নাড়া , ঘন ঘন । কারণ আর অকারণ বড় !
জানালায় জলের ছোঁয়া । নাচে দুপায়ে খোলা কপাট
নিত্যদিন জলে আর বাতাসের অনুরাগে ! ধানক্ষেত , চিক্কন আল বাঁধা পথ
সবুজ ঘাসের মাঠ , গান গান মুখ ব্যাঙ্গমা বাঙ্গামি সুখে আছে ঢের
জলের ছোঁয়ায় ! ভাগ্যবতি সবাই ! সে ?
ইচেছ বড় টিকটিকি হৃদয় দিয়ে জলাঞ্জলি
ছুঁতে জল । জলের বৃষ্টি ,কিংবা বৃষ্টির জল !
মৎস্য কন্যে হতে যার আধখানা শরীর জলের
আর আধখানা মর্তের । নিজের কিছুই নয় !