গতকালের স্টার কাবাব আড্ডা ছিল নারী বিবর্জিত । পথে নাকি নারী সাহচর্য যতটা ঝেড়ে ফেলে যায় ততই মঙ্গল । কাবাব আড্ডায় মেয়েরা যেতে পারলে বোধহয় খুশীই হতেন । কিন্তু নানা কারণে কেউ হয়তো যেতে পারেন নি !
যা হোক বড় জানতে ইচ্ছে করছে , খালি মুখে আড্ডা নাকি চায়ের সংগে টাও ছিল । এ প্রসঙ্গে জগৎ বিখ্যাত ছোটগল্পকার সমার সেট মমের ‘লাঞ্চন’ গল্পটার কথাই বাড়ে বাড়ে মনে পড়ছে । লেখক তখন বয়সে তরুন । প্যারিসের এক অতি দরিদ্র এলাকায় কোনমতে ক্লায়ক্লেসে দিন যাপন করছেন । তবে লেখক হিসেবে তাঁর কিছুটা খ্যাতি হয়েছে । এমন সময়ে প্রায় মধ্য বয়সী এক নারী স্তাবকের পাল্লায় পরে তাঁকে এক নামকরা হোটেল/ ‘ ফয়টস ‘এ আপ্যায়ন করতে গিয়ে লেখককে সারা মাসের মাসকাবারের টাকা খোয়াতে হয়েছিল । শ্তুতিকারিনী কেবলি বলে চলেন , আমি লাঞ্চ এ একটা পদের বেশী খাই না । কিন্তু একে একে তিনি নামীদামী ৭/৮ পদের আহার খেয়ে খেয়ে লেখককে ফতুর করে দিয়েছিলেন । অবশ্য সদাশয় দেবতা এ বিষয়টি নিজের হাতেই নিয়েছিলেন । প্রায় বিশ বছর পর তাদের দুজনার যখন আবার দেখা হল , তখন সে মহিলাটি হাতীর মতো বিশাল আর কিনভুতকিমার । লেখক তাঁর মনঃকষ্টের মূল্য পেয়েছিলেন এভাবেই !
আমাদের ‘স্টার কাবাব আড্ডা’ তো দেখতে পাচ্ছি সব দিক দিয়েই মঙ্গলময় । কোন নারী কবি নেই । নেই কোন কম বা মধ্য বয়সী মহিলা স্তাবক।
তবে যুবক কবিরা সাবধান । অপ্রেমের ‘ফাঁদ পাতা ভুবনে ,কখন কে কোথায় ধরা পড়ে কে জানে !’