আরশিতে রাখে তাঁর সূর্যমুখী মুখ, দেয়ালে ঝোলানো
আরশি দেখে না তাঁকে , সূর্যালোকে সে আপনি দেখে আপনাকে
স্নানরত নারসিসাস যেন জলে মুগ্ধ আপন শরীরে ।
পড়ে সুগন্ধ মালা পাটি সিঁথিতে , স্তব্ধ পথের মতো
গেছে যা বয়ে বহুদূরে অথবা সূদূরে ।
সৌদামিনী ইশারাতে আঁকে ভঙ্গিমা কাজলের , কালো
চিক্কন ! সোনামুখী কপালে দেয় টিপ । লাল নীল
কিংবা হলুদ মেশানো সোনায় সোহাগা রঙ্গে ।
সরু বাঁকা ঠোটে আঁকে দিগন্ত মাধুরী , দিঘল চুলে
দীপিকা দীপাবলি । এভাবেই কাটে , কাটে তাঁর বেলা
দিগম্বরী রুপের যেন অনিমেষ ছেলে খেলা !
আরশি বলে না কিছুই , কেবলি দেখে চেয়ে নিরুত্তর
নিশ্চিত দৃষ্টিতে । এমন পত্রমঞ্জুরী দেখেছে সে ঢের
মধুচন্দ্রকালে ! বেলা যায় , যায় বেলা
আরশির গায়ে লাগে পড়ন্ত বিকেলের ছায়া । ঘুম ঘুম
ক্লান্ত , অবসন্ন জলের খেলা যেন ঢেউ হীন জলে ।
আরশিতে পরে না তাঁর দুচোখ । ম্লান , মসৃণ মহানন্দ রুপ
অঞ্জন পরে না দু চোখে ।কাঁকন কঙ্কণ ঢুলু ঢুলু অঙ্গে
সীতাহার কন্ঠহারা কাঙাল যেন সে । নূপুর তোলে না
কাঁপন চাঁদবদনী সে হৃদয়ে ।
আরশি জলে ফেলে চিন্তন সে যায় , যায়
ফিরে যায় সে আপনি আপনাতে !