শব্দগুলো উঁড়ে উঁড়ে তোমায় ছুঁতে চায়, শুকুল পট্টির ছাদে উড়ো ঘুড়ির মতো পতপত পালতোলা বাহারী নায়ের পারানি
পথে মিতালী তাদের লাল নীল হলুদ শঙ্খ রাঙা মাছরাঙ্গা জলকন্যেদের সাথে
রাজার বাড়ী , রাজপুত্তুর। সদর , অন্দর , অগ্নিজল !
ভুলে যায় ওরা -আদি -অন্ত , রাজপথ , প্রাচীর , দেয়াল , কূলের বাগান , উঠোনের মেঠোপথ , বাঁশিওয়ালা , আমকাঠির ভেঁপু ! ছয় পাপড়ি আদরের ফুল ! নারকেলের মালাবাতি !
কবিতায় লেখা তাঁর নাম,রুমোলের এক কোনে , ভাঁজে ভাঁজে -ভুল না আমায় । দেয়ালির আলো ফেলে , কংশ রাজের বাতি স্বপ্নের ঘোরে -ঘুরপাক খায় যেন ক্রমিক ! লাল- পোশাক রাজার সেপাহী। হারে রে রে রে !
কেবল লেবাসী আতর, মখমল , বাদ্যি বাজানাই । শব্দমালা পথ ভুলে । ভুলে পথ !
ক্লান্ত চড়ুই পাখির বুকে তৃষিত শব্দের কণা । আহার হৃদয়ের - ছুঁয়ে ছুঁয়ে সুদূরের তারা আর জলের আলপনা- সবুজ স্বপ্নের সানাই বাজাতে চায় কি সে। প্রজাপতি সানাই ।
একান্ত রঙ আর না বলা কথার মাতামাতি । কেউ দেখেনি ছুঁয়ে ! আহা , তবু সে বারে বারে ডেকে বলে - ঘুম ঘুম ভাল নয় কন্যে । অকারণ দু-পাতায় মেদ জমে ভারী । কালঘুম পেড়িয়ে তাল পাতার নায়ে পক্তিমালা ভাসিয়ে দাও । দূরে । সূদূরে । কোন একদিন অচেনা ভবঘুরে জলের ফেরীওয়ালা খুঁজে পাবে অবহেলে ভাসানো জলের পক্তিমালা !!
কবি বন্ধু / ছোট ভাই কবির হুমায়ুন এর অনুরোধে একটু ফিরতে চাওয়া !