হাতে ভাতের থালা নিয়ে দৌড়াচ্ছে সে -হোটেল বয়।
আমরা যখনই ভাত খেতে যাই-হোটেলে;
আমাদের সার্ভ করে সে--নির্লিপ্ত মনে ফ্যাকাসে হাসি রেখে।
মনে হয় যেন-তার উদাসীন মন পড়ে আছে অতীতের আস্তাকুঁড়ে!

রঙ চটে গেছে তার শার্ট-প্যান্টও ছিঁড়ে গেছে।
তবুও সে তো গান গায়!
গান গায়-অতীতের-আনন্দের-বেদনার।

আমাদের সাথে খুব সখ্যতা তার।
সেদিন সে বলেছিল আমাদের-মনের মাঝে
লুকিয়ে থাকা কিছু বেদনা কর অতীত।
যে অতীত হার মানাবে জ্বলন্ত আগুন কেও!
হয়তোবা আগুন তার নিজ কান্নার জলে নিভে যাবে-মিলিয়ে যাবে অন্তরালে হাওয়ার মতন।

তার বাবা-মা মারা গেছে -ছোটবেলায়।
হোটেলে হোটেলে কাজ করে
দু মুঠো ভাতের ব্যবস্থা করতে হতো তাকে।
কেও তাকে দেখে নি-কেও খবর রাখে নি;
যেন সে এ সমাজের বোঝা-পচে যাওয়া মুমূর্ষু
কীট!!

কোথায় ছিল সেদিন মানবতা-মানবতার জয়গান কারীরা?
কোথায় ছিল সেদিন সমাজ-সমাজের নীতিনির্ধারকেরা?

না---কেও ছিল না সেদিন পাশে।
এ ভণ্ড সমাজ সেদিন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল--ঘৃনার চোখে।
আমি আজকাল ঘুমালে-
পঁচা গন্ধে ছেয়ে যাওয়া নোংরা ডাস্টবিন(সমাজ) স্বপ্নে দেখি;যেখান
থেকে ভেসে আসে অনবরত কুকুরের চিৎকার-শিয়ালের হর্ষে র ধ্বনি!!