আমার এ বিষন্ন মনে
অবসন্নতার কালো এক ঘুড়ি সর্বদা উড়াউড়ি
করে।
ধানের ডগার উপর শিশির বিন্দুর মতো জমে
থাকা সাদা অশ্রুফোটা সেই ঘুড়িটি থেকে
অবিরাম ঝরে পড়ে।।
যেনো সে তো ঘুড়ি নয়;চোখের জলের বিশাল
পুকুর!!
আমি জীবনের পথে অনেক হেটেছি;দেখেছি
হিংস্রভাবে তাকিয়ে আছে আমার দিকে
আমার নিজেরই সত্তার কুকুর।।
মাঝে মাঝে আমি বসে থাকি শেখ বাড়ির খাল পাড়ে।
যখন কড়ইয়ের পাতা সব ঘুমায়ে যায়।
যখন ওই কালো আকাশেতে অক্লান্ত পথিকের
মতো নক্ষত্রগুলো ভেসে বেড়ায়।।
উটের ঘাড়ের মতো এই চেনাজানা পথটির দিকে
তাকালে মনে পড়ে সেই স্মৃতি!
আহা!এই রাস্তার পাশে বসেই একদিন ঘুড়ি
উড়াতাম;ডান্ডাঘুটি খেলতাম দিয়ে লাঠি।।
ক্লান্ত কৃষক সব ফিরে আসে নীড়ে;রেখে যায়
হাহাকার সবুজ ঘাসে।
এক গ্রাম্য জননী আছে পথের দিকে চেয়ে;তার
হতাশার নিঃশ্বাস আসে শীতল বাতাসে ভেসে।
এক ঝাক মৌমাছির মতো তেড়ে আসা কালো
সন্ধ্যায় আমি বসে থাকি শিশিরভেজা সবুজ আলুক্ষেতে।
দূর থেকে ভেসে আসা শুকনো নাড়ার শব্দে
এ মনের বিষন্নতার দেওয়াল নড়বড় করে ওঠে।।
আমি কতবার চেষ্টা করেছি সেই ঘুড়িকে নামাতে
ভেজা মাটিতে সবুজ পাতার নাটাইল দিয়ে।
নামে নি বরং পুটি মাছের ঝোলের মতো তার
কান্নার জল ছড়িয়ে পড়েছে এ মনের ধানক্ষেতে।।