তুমি-আমি দুজনে হেটে চলি বহুদূর-দিগন্তের
নীলিমায়।
সাদা কুয়াশার মতো শুভ্র বক ওই আকাশেতে
ভেসে বেড়ায়।
নদীর ঘাট থেকে বাঁশির সুরের মতো হাঁকডাক
আসে ভেসে।
জাহাজের মাস্তুলে হেলান দিয়ে আমি বসে আছি
তোমার পাশে।
সাদা চিল উড়ে যায়-শ্রাবণের সন্ধ্যায়।
হালকা বৃষ্টিতে তোমার নীলাভ বদন
ভিজে যায়
ভিজে যায়।
যেন সবুজ দূর্বা ঘাসে সাদা ঠাণ্ডা শিশির
লেগে যায়
অনবরত লেগে যায়।।

নদীর কল কল ধ্বনি ভেসে আসে কানে।
সন্ধ্যার ঠাণ্ডা বাতাস ছড়িয়ে পড়ে মাঠে-
ঘাটে, ক্ষেতে।
মাঝে মাঝে কিছু দাড়কিনি মাছ উঁকি মারে
জলে।
আমি চেয়ে থাকি তোমার মুখের দিকে-
অপলক দৃষ্টিতে।
আকাশে নক্ষত্র জাগে;চাঁদের আলো ছড়িয়ে পড়ে
এ ধরায়।
হয়তো বা বহু -বহুদূরে-তেতুলের তলে
কোনো এক শিশু মায়ের হাত ধরে
গন্তব্যের পথে পা বাড়ায়।।
গাছের সজীব পাতা যায় ঘুমিয়ে ;নিভু নিভু করে
জ্বলে হ্যারিকেনের বাতি দূরের নৌকায়।
সোনালি ধান গাছের মতো তোমার কালো চুল
উড়ে
ঠাণ্ডা হাওয়ায়।

কালো নিঃশ্বাসে ভরা এই মাঝ রাত্রে,
শালিকের মতো ঘুমায় সবাই।
শুধু জেগে রই তুমি আর আমি-মুখোমুখি
চিরকাল---চিরকাল
সবুজ পাতার উপর লেগে থাকা সাদা স্নিগ্ধ
শিশিরের মতো তোমার হাতটি ধরে
যেতে হবে যে দিগন্তের নীলিমায়।