(হেমন্তের অসমাপ্ত পদাবলি)
হেমন্ত রাজ্যে আমি যাবো নাকো আর
আমি এই শরতের সীমান্ত রেখায়
দাঁড়িয়েই রবো
শরৎ শ্বেতাঙ্গ মেঘে আমার হৃদয় ব্যথা
একলাই কবো।
আমার এ মুখ থেকে কোন কথা আর কোনদিন
ভূল করে হবে নাকো শুদ্ধ উচ্চারণ
যখন দেখছি চেয়ে দিকে দিকে যুদ্ধের মহা আয়োজন
দিনে দিনে বাড়িতেছে দখলদারের যত পীরণ, দমন।
কি হবে হেমন্তে গিয়ে মিছে
শিশিরের সাথে কোন মিতালি হবে না
আমার চরণ আমি শীতল দুর্বাদল জলে
কখনো ভেঁজাবো না।
হেমন্ত হলুদ মাঠে মাঠে
ঘুরব না বাউলের মত করে আমি
এলোমেলো পথে
আমার কবিতা আমি উড়ে নিয়ে যাবো নাকো আর
বৈরাগ্যের রথে।
যখন দেখছি চেয়ে সহস্র সহস্র শিশু, নারী
পুড়িতেছে, মরিতেছে ধ্বংসাস্ত্র দহনে
মানবের অধিকার ছিনিয়া নিতেছে যারা কতিপয় গুরু
তাদের লিখিও নাম তোমার কহণে।
আমার হেমন্ত লেখা অপযুদ্ধ- বহ্নি-ক্ষত ছুঁয়ে
হয়ে গেছে খাক
অপূর্ন হেমন্ত লেখা আজ এই অকাল বেলায়
এখানেই থাক।
(শরীফ আহমাদ)
ক।৬৬।২৬। ৪।১২।২৩। দুপ।২২।২০