(প্রত্যেক জাতি গোষ্ঠির মাতৃভাষার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে)
হে আমার প্রিয় বর্ণমালা
যতো আছো আমার প্রিয় শব্দমালা
আমার প্রিয় বাক্যবান্ধব,বাক্যসম্ভার যতো আছো
কেন তোমরা বেদনার্ত হয়ে যাচ্ছো?
কিসে তোমরা অভিমানিত হয়ে যাচ্ছো
কেনই বা তোমরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছো বারবার
দারুণ ক্ষোভে?
আমি জানি তোমরা কি বলতে চাও অস্ফূট স্বরে?
আমি জানি তোমরা কি ব্যক্ত করতে চাও অর্ধনিমীলিত আখিতে?
আমি জেনে গেছি তোমাদের অভিযোগ।
যখন তোমাদের উচ্চারণ করা হয় বিকৃত ভাবে
যখন তোমাদের উপস্হাপন করা হয় অশিল্পীত অবয়বে
যখন তোমাদের প্রকাশিত করা হয় দুর্গন্ধযুক্ত ভাবে
যখন তোমাদের ছড়িয়ে দেয়া হয় ইথারে উলঙ্গ আকৃতি দিয়ে
তখন তোমাদের পবিত্রবদন বেদনার্ত হয়ে ওঠে
তখন তোমাদের স্বপ্নশিশুরা পথ হারিয়ে
মুখ থুবড়ে পরে থাকে ধূলির সড়কে
বেওয়ারিশ পথশিশুর মতো।
তোমাদের শোকার্ত নীলাভ অক্ষিপটভূমির তটরেখাসমূহ
অশ্রু জোয়ারে প্লাবিত হতে থাকে।
তোমাদের অভিযোগসমূহ হয়তো কোন একদিন
বিজ্ঞজনের বিবেকের আদালতে উপস্থাপিত হবে
শুনানিও হবে ঠিক।
আমি কিন্তু সাক্ষী হয়ে উঠে দাঁড়াবো সেদিন
আমার আত্নার প্রিয় বন্ধু বর্নমালার পক্ষে।
আমি সেদিন প্রমান করিয়েই ছাড়বো তাদের অভিযোগ।
বিজ্ঞ আদালতের বিবেকহৃদ্ধ রায়ে
বিবেকহীন বীতশ্রদ্ধ অপরাধীরা সেদিন
দোষী সাব্যস্ত হবে নিশ্চয়।
বিবেকের কারাগারে তারা অবরুদ্ধ থাকবে চিরকাল।
তখন হয়তো হয়তো আমরা দায়মুক্ত হবো
সুশীল সমাজের মুরুব্বিরা দায়মুক্ত হবে।
পবিত্র মাতৃভাষার স্নিগ্ধ জোৎস্নার প্লাবিত জোয়ারে
আমরা অবগাহিত হবো সেই দিন।
(শরীফ আহমাদ)
বি:দ্র: ২১ ফেব্রুয়ারী/২৩ মাসে প্রকাশিত।
ক।৫৯।১