এক কেটলি চা আর কয়েক বান্ডিল বিড়ি
আমি, কবি আর মৃত্যু —
একটা সুস্থ-সরল আলোচনায়।
ধূসর হয়ে আসা বাতাসের ফাঁকে ফাঁকে
কবি বলে চলেন এক এক করে,
আকাশের শেষ নীলাভ নক্ষত্রটি
জ্বলজ্বল করে উঠলে থামেন,
থামান তাঁর শতলাখ ভাবনার আলো।
ঠিক তারই কিছু পর
মৃত্যু হেসে ওঠে—নিঃশব্দে,
তার হাসিতেই বুঝিয়ে দেয়
কতটুকু বলা হয়েছে,
আর বাকি থেকে গেছে কতটুকু।
কবি হয়তো দেখতে পান না,
চলে যাওয়ার পর
তাঁর না বলে যাওয়ার আকাশ থেকে
কত কুম্ভীরাশ্রু ঝরবে,
তবুও শান্ত হবে না মাটি —
প্রতিটি কবিতা-ই তো নশ্বর,
প্রতিটি জীবনই অসম্পূর্ণ যখন
মৃত্যু হেসে চলে—নিঃশব্দ,
আর উপলব্ধি করি চিরতরে
সেরা কবিতাটি লেখা হয়নি তাঁর —