দূরে,
কোথাও যেন আউলিয়া বাঁশির সুর
গড়িয়ে পড়ছে এই মেহগিনি রাতে,
আকাবাঁকা সরু পথ—ফিকে চাঁদের আলো
হেঁটে গেছে
কাছেরই কোনো আভীরপল্লী অবধি।
কে আসে এইপথে—
এতরাতে এই মরা চোতের জটা মাথায়!
ফিরে যাও ওখানে—যেখানে নদীর চড়ায়
আগুনের আসর বসে, আর ডুগডুগি বাজিয়ে
মেয়েমানুষের নাচ হয়—কত লাল চোখে!
ফিরে যাও আবার
সে কুচ্ছিৎ পৃথিবীর চেতনায়,
এখানে থমথমে বসে রইলে
নেশার দুনিয়াটাকে স্বপ্নের মত লাগে,
স্বপ্নের মত—এই উজবুকের মিথ্যে প্রান্তর
যেখানে গাজনের ভক্তেরাও
নিঃশব্দে পেরিয়ে যায় কষ্টের দেশ,
ফাঁকা আখের ভুঁইয়ে দরমা বিছানো
আলতো লন্ঠন—আলতো মায়ায়
চাষারা ভিজে নেশার গান ধরে—
কেননা
তারা জানে, শুকনো সত্যির থেকে
হাজারগুণ ভালো তরল মিথ্যে,
তারা জানে
ভ্রমের পৃথিবীটা কত সুন্দর,
কত নরম
রাখতে না পারা কথাগুলো!
—আর সেজন্যই
জ্যোৎস্না পান করি আমরা
মাটির কল্পনা নিংড়ে শেষ বিন্দু বিন্দু—
যাতে সত্যির হাতে খুন না হতে হয় আমাদের।