(১)
জলদগম্ভীর স্রোতেদের থেকে
লিখে রাখি
কবি চেনার সহজ উপায়ঃ
দু’চোখের নীচে ছড়ানো কালিমারেখা,
তার অতলস্থিত সৌন্দর্যের আকর—
(২)
মিশরীয় লিপির মত দুর্বোধ্য রাতগুলো
চুপচাপ দেখেঃ
ছায়াও যেন কোনো মর্মর প্রাসাদ
যা কায়াকে আমন্ত্রণ জানায়
প্রতিটা নিঃশব্দ মুহূর্তে—
(৩)
এ জগৎ—এ অস্তিত্ব
গন্ধর্ব নগরীর মতই অলীক,
আয়নায় প্রতিবিম্বের মত মিথ্যা
সমস্ত ভিজে যাওয়া কথাদের
মেলে রাখি কাব্যের শাখা-প্রশাখায়—
(৪)
সে কি পারে আলো দেখাতে?
শব্দের পালক ছুঁয়ে ছুঁয়ে
কবুতর-প্রাণ অধরা রয়ে যায়,
সামান্য আলেয়ার তাগিদ
কবি তলিয়ে যান কয়েকজন্ম আঁধারে—
(৫)
নিতান্তই অভ্যাসের বশে
পথ হাতড়ে চলেন তিনি
সাদা পাতা থেকে বারবিলাসিনী শরীর,
প্রাণহীন মুদ্রাসঙ্গম শুধু—
কিছু সমাপ্তি ঈশ্বরও বুঝতে পারে না।