তোমার চিন্তায় বিভোর হয়ে,
ভেলা ভাসাই তোমার মনের নদে;
তুমুল ঢেউয়ে ভেলা ভেঙে যায়,
তলিয়ে যাই তোমার মনের খাদে।
দৌড়ে-উড়ে পৌঁছালে তোমার মনের ঘরে,
তোমাকে পাব বনলতার শাড়িতে বউয়ের বেশে,
থমকে দাঁড়াই দুয়ার ধারে,
যাব না কাছে,যদি না বলো মুচকি হেসে।
ভ্রমর হয়ে উড়বো আমি,
আবর্তন তোমায় কেন্দ্র করে;
তুমি এমনই ফুল,
যার সুবাস বেঁধে রাখব বুকটা ভরে।
তোমার মনের ঘরে তুমি বনলতা হলে,
আমি জীবনানন্দ হয়ে লিখে যাব কাব্যের পর কাব্য;
যা হবে তোমারই লিখিত রূপ,
যেখানে থাকবে না বিচ্ছেদের এক বিন্দুও সম্ভাব্য।