ফের কোনো এক ভোরে দেখা হোক সেই মেহগনির পত্রে ছেয়ে থাকা পথে।যার দু'পাশে শিশিরেরা উঁকি দেয় রোদের দেখা পেলে।
আকাশ জুড়ে থাকে যেথায় শূন্য ডালের নকশা।
এমনই এক পাতা ঝরার দিনে ভোরের রোদে ভর করে আসবে তুমি,হাসবে তুমি এক জোড়া অপেক্ষারত চোখ দেখে।
ডেকে উঠবে কোকিল,কুহুতানের তালে তালে বাজবে হৃদপিণ্ডটা।কমতে কমতে শূন্য হয়ে যাবে দূরত্বটা।
দমকা হাওয়াটা আসবে আবার,অবশিষ্ট পাতাদের ঝরিয়ে দেবে আমাদের উপর।বসন্ত আমাদের বরণ করে নেবে।আর,আমি বরণ করে নেব তোমায়।
শীত যায়নি এখনো,নদীর ওদিকটায় এখনও দেখা পাওয়া যায় কুহেলিকার।হয়তো সে নদীর মায়া ছাড়তে পারেনি,কিংবা ছাড়তে নারাজ।যেমনটা তোমায় ছাড়তে আমি নারাজ।
হাঁটতে হাঁটতে যখন পৌঁছাবো দেবদারু বনে,চোখ পড়বে সবার থেকে আলাদা হয়ে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা রুদ্রপলাশ গাছটির দিকে।এগিয়ে তার তলে,বসবো রুদ্রপলাশে ছেয়ে থাকা বিছানায়।থেকে থেকে ঝরবে রুদ্রপলাশ,আটকে যাবে তোমার চুলে।
যেন প্রকৃতিও চায় তোমার সৌন্দর্যে আমি পুরোটা মাতাল হয়ে থাকি।
কিন্তু প্রকৃতি জানে না,আমি যে বহুকাল আগে থেকেই মাতাল হয়ে আছি তোমার প্রেমে।যে নেশা কাটবার নয় হাজার বছরেও।