মেঘ ধুয়ে নিক আমার গগনের,
বিষণ্ণ হাওয়া;
মুক্ত করুক পথহারা হাসির পাখিদের,
এই গগনে আসাযাওয়া।

বিষাদী চোখে দৃষ্টি আমার দিশাহীন হয়ে,
খুঁজে ফেরে তারার কোণে;
অজ্ঞাত করে বসন্তে বৃষ্টির মতো তুমিও,
না জানি পালালে কোন অরণ্যে।

ঋতু পেড়িয়ে ডালে ডালে,
নতুন কুঁড়ি এলো;
বাগানের গাছের ঝড়ে পড়া পাতাগুলিও,
তোমায় ভুলতে ব্যর্থ হলো।

সেই একশত ঋতু অতিবাহিত হয়েছে তবু,
চোখ দু'টি বর্ষারূপী তোমায় দেখতে পায়নি;
তবুও আরো সহস্র ঋতু নির্বিঘ্নে চেয়ে রইবে,
ওরা তোমায় খোঁজার আশা হারায়নি।

এখনো কদম আমায় ডাকছে সুবাস ছড়িয়ে,
সুবাসে ভেসে তোমায় খুঁজবে বলে;
তাদেরও শখ অনেক তোমার খোঁপায় সাজবে,
যখন আমার সাথে ভিজবে বৃষ্টির জলে।

দেয়ালের ঘড়ি চলছে এখনো তার নিজের গতিতে,
কিন্তু আমার প্রহর থেমে আছে;
তোমার চলে যাওয়া দেখে সে,সেই স্থানেই,
নিজেকে আটকে নিয়েছে।

আমি বলছি না আমি ভাল নেই,
তোমার স্মৃতি তো আছে;
তবে ওরা আমায় তোমার সঙ্গ দিয়ে,
গোধূলির মেঘে গা ভাসাতে চাচ্ছে।

দুটো কথা বলি শোনো,
বেধে নাও মস্তিষ্কের বাঁকে;
তুমি সেই ফুল বাগানে,
যা শুধুই মানায় আমার বুকে।