বড় সাধ হয় কাক হবার।
চকচকে কালো ডানায় রোদ মেঘে উড়ে বেড়াবো নগরে নগরে।
আমার বিষাদ থাকবে না।আমার পিছুটান থাকবে না।আমার,
কেউ থাকবে না।
দু'টো ক্ষুদ্র রেটিনায় থাকবে এই সুবিশাল পৃথিবী,স্বাধীন আকাশ;অলিগলিতে উড়ে বেড়াবো,মানুষের অযত্নে পড়ে থাকা ভালোবাসার চাদর খুঁজে বেড়াবো।
এককালে যে চাদর জড়িয়ে কেটেছে সকাল,দুপুর,বিকেল,রাত;
আর দিবা-স্বপ্নের অজস্র মুহূর্ত।
খুঁজবো ভালোবাসার সেই হাসিগুলো,যেই হাসিগুলো আজ আবর্জনার মতো পঁচে যাচ্ছে অবহেলায়।যে হাসিগুলোর পিছনে ছিলো একটি মানুষকে নিয়ে কল্পনায় তৈরি করা অকথিত উপন্যাস।
তবে গলিগুলোতে বিদ্যমান ঘরগুলোর জানালা থেকে আমি যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রাখবো।
কেননা,জানালাগুলো ভয়ানক,বিভৎস অশ্রুমিশ্রিত বেদনাদায়ক মুহুর্তের জানান দেয়।সেই সাথে সেখানে আছে দীর্ঘশ্বাসের মতো বিষাক্ত বাতাস।সে বাতাসে ছোঁয়া আমি পেতে চাই না।আমার প্রাণ ঝলসে যাবে।চিৎকার করে কাঁদতে চাইবো আমি।হাত-পা ছুঁড়ে কাঁদতে চাইবো আমি।
এ জগতে প্রতি তিনজন মানুষের মধ্যে একজন ভালোবাসাকে অনুভব করার ক্ষমতা রাখে;
অবশিষ্টরা সেটাকে অনুভব করতে পারে না,সেটাকে দু'টি দেহ পাশাপাশি হওয়া ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারে না।অনেকটা,গোধূলিকে গোধূলি নয়,শুধুই সন্ধ্যা নেমেছে বলে গন্য করা।
ভালোবাসাও যে গোধূলির মতো রঙিন।
সে রঙ খুঁজতে পাড়ি দেবো লাখো মলিন মনে।জগতের সকল মলিন মনে পড়ে থাকা আবর্জনার মতো অবহেলিত ভালোবাসাকে কুড়াবো বলে আমি কাক হবো।
এই প্রাণে,ভালোবাসার বড় ক্ষুধা।