আজ দক্ষিণের দ্বীপের দেবদারুর বনে এসেছি স্মৃতিকথা স্মরণ করতে।
এখানেই তো ছিল সে শেষবার,
শ্যাম অঙ্গে নীলচে শাড়ি পড়নে ছিল বলে,
আচড় কেটেছিলো অন্তঃগৃহে আমার।
ঘন কালো কাজল চিড়ে এসেছিল যে দৃষ্টি আমার পানে,
আমি যে হয়েছিলাম আহত,
কত প্রহর যে কেটেছে সেদিকে চেয়ে,
তা কে জানে!
জারুলতা,
আচল যে তার ছুঁয়েছিল দেবদারুর বক্ষ বারংবার,
যতবার গিয়েছি তার কাছে,
গিলে নিয়েছিলো তারে কোনো এক অজানা ধোঁয়াটে গহ্বর।
অন্য জাগতিক প্রেমের আহ্বান জানিয়ে গিয়েছিল জারুলতা।
কুহেলিকা কুণ্ডলীতে প্রবেশ করে শুধু বারে বার তার এক চিলতে হাসিই চোখে পড়েছে,
অনুসরণে তবু পাইনি তার সাক্ষাৎ।
পাইনি সাক্ষাৎ তবে,দিয়েছি সে স্পর্শ,
কুহেলিকায় ভর করে যেন চলে,
হঠাৎ এসে আলতো ছোঁয়ায় পুলকিত করে মিশে যায় কুয়াশায়।
জারুলতা,
এক লুকোচুরি ভরা প্রেমের নাম।
মুঠো মুঠো ভরা অভিমান।
জারুলতা,
একচিলতে হাসির অপূর্ব রুপ,
অসমাপ্ত প্রেমের অদেখার বিদায় স্বরুপ।
শ্যামলতা বলি তারে,
মোর শ্যামা জারুলতা।