জারুলের পাপড়ি সেথায় উড়ে বেড়ায়,কয়েক ক্রোশ পথ সেথায় ছেয়ে আছে জারুলে।আর,এ প্রাণে আছে জারুলের ছোঁয়া।
এমনই এক স্বর্গের উদ্দেশ্যে আমরা পাড়ি দেবো রাত দুপুরে,যখন কোনো প্রাণ জেগে থাকবে না।দেখবে না আমাদের পলায়ন।থাকবে না কোকিলের কুহূতান,
তখন লোকালয়কে বিদায় জানিয়ে রওনা হবো জারুলবনে।সেথায় তারা গর্ব নিয়ে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,অগনিত মানুষের বদনে জারুল ঝরিয়েছে।
আমরাও সেই স্নান নিতেই যাবো সেথায়,জারুলে ঘেরা পথ যতদূর বিস্তৃত,ততদূর অবিরাম হেঁটে যাবো ধীর পায়ে জারুল স্নাত হতে হতে।
সেথায় পৌঁছে তোমার হাতটি শক্ত করে আঁকড়ে ধরে রাখবো যাতে তুমি বিমুগ্ধ হয়ে হারিয়ে না যাও।আমি চাই তোমার বিমুগ্ধতা কাজ করুক শুধু আমায় ঘিরে।সেখানে গেলে তুমি মুগ্ধ হতে পারো,তবে বিমুগ্ধ হওয়া বারণ।
তবে যাবার পূর্বে শর্ত হলো,প্রতি স্নানেরকালে আমায় উপহার দেবে চুম্বণ।
হয়তো কোমল মনের তুমি জারুলে ছেয়ে থাকা পথে পা রাখতে চাইবে না প্রথমে।কিভাবে এই ফুল তুমি মাড়িয়ে চলবে তা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করবে সেটা আমি জানি,এবং আমি এটাও জানি তুমি কোনো কিছুর বিনিময়ে জারুল স্নানের সুযোগ হাতছাড়া করবে না।
তোমার দ্বিধাদ্বন্দ্ব পায়ে মাড়িয়ে তুমি নিজেই আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যাবে সামনে,সুখের দিকে।
যখন জারুলের প্রথম বর্ষণ হবে,আমি তখন সে বর্ষণে কোনো ভ্রুক্ষেপই করবো না।আমি দেখবো সে বর্ষণ গ্রহণের পর তোমার মুখশ্রী।দু'হাত ছড়িয়ে দেবে তুমি,সাদরে জারুলদের তুমি আমন্ত্রণ জানাবে তোমার বদনে।
আমিও ভুলে যাবো আমার দেওয়া সে শর্তের কথা।আমি যে অতিশয় মোহিত হয়ে যাবো।একদৃষ্টে তোমায় দেখার নেশা চড়ে বসবে।
জারুলের ছোঁয়া ভয়ানকভাবে প্রভাবিত করবে এই প্রাণে।