আমি অতীব ক্লান্ত,
এতটাই ক্লান্ত,আর একটি বালুকণার সমপরিমাণ দূরত্বের পথও অতিক্রম করতে পারবো না।
বহুরূপী এই জীবন আমায় বহুভাবে শোষণ করেছে,বহু বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে কাঁধে,বহু শেকল বেঁধেছে পায়ে।
এই পথে আর একটুকুও এগোনোর সামর্থ্য আমার নেই।আমি আহত,ক্ষত-বিক্ষত।
নিঃসঙ্গতা নামক পশু আমায় ছিঁড়েখুঁড়ে খেয়েছে,খাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
নিঃসঙ্গতা জীবের পরম সঙ্গী,যার সঙ্গী নেই তার পরম সঙ্গী নিঃসঙ্গতা আছে।
আমি এতটাই নুইয়ে পড়েছি জীবনের প্রদত্ত ভারে,এতটাই ভূমির নিকটে পৌঁছেছি যে,এখন আমি পিঁপড়ের কোষ গুণতে পারি।এত কোষ যদি আমার থাকতো হবে আমিও পঞ্চাশ গুণ অধিক ভার বইতে পারতাম।
সমাজের প্রদত্ত অর্থ খেলার মতো অসহনীয় ভারে আমি নুইয়ে পড়তাম না।
আমি এগোতে পারি না আর।এগোতে দেয় না কেউ।সমাজ জীবনের তীক্ষ্ণ কাঁটাযুক্ত শেকল আমায় আকড়ে রেখেছে,পেঁচিয়ে ধরেছে সাপের মতো।যতই এগোবো ততই বিঁধবে শরীরে।
থেমে থাকলে মনে বিঁধবে কাঁটা,এগোতে না পারার বেদনায়।
এই পথ,আর এই পথের যন্ত্রণা আমায় বাঁচতে দেবে না,মরতে দেবে না।
আমি বাচঁবো না,আমি মরবো না।এর মাঝেই থেকে যাবো অনন্তকাল।প্রতিটা সকাল,প্রতিটা বিকাল আর সন্ধ্যা,রাত্রী,দুপুরে আমি জীবন মরণের মধ্যিখানে থাকবো চিরকাল।
আমি জীবন মরণের চৌকাঠ।