ছেঁড়া কাগজ,ছেঁড়া লেখায় আছড়ে পড়া ছেঁড়া গোধূলির টুকরোগুলো সাতরে বেড়ায় কিসের নেশায় কিসের খোঁজে কাকে খোঁজে কেউ জানে না,কেউ জানে না।

ভাঙা রঙ-পেন্সিল আঁকে আকাশ নীল,
জলের বুক চিরে,তোলে নৌকায় পাল।
সাদা কাগজে লাখো অক্ষরের মেলা গড়ে,
শব্দে শব্দ জুড়ে সাদার শূন্যতাকে রূপান্তরিত করে বাক্যের শহরে।

মৃতপ্রায় সূর্যের আভা জ্বালিয়েছে অশ্রু।

হঠাৎই কানে আসে ভূবণে সন্ধ্যে নামার বিকট শব্দ,
তারপরই সব নিস্তব্ধ।
বাতাসে,নিঃশ্বাসে হাসনাহেনার গন্ধ করে ছোটাছুটি,
চাঁদের সন্তান যেখানে সেখানে খায় লুটোপুটি।

ঘড়ির কাঁটা দৌড়ে চলে ঘন্টার মাথায় পা রেখে ডেকে আনে নিশীথ।

ছিটকে পড়া দুঃখগুলি নিশীথের পিছু নিয়ে এসে ভর করে আমার জানালায়,
জানালায় থাকা চাঁদের সন্তান দুমড়ে মুচড়ে যায় তাদের পায়ের তলায়।
আস্ত রাতকে ধরে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায়,
পালায় ভোরের আলোর ছোঁয়ায়।


ব্যস্ত হাতে দুঃস্থ কবি ব্যস্ত পাতা ছেঁড়ায়।


ছেঁড়া লেখা হলো ছেঁড়া অনুভূতি,
অবর্ণনীয়,ছিঁড়ে যাওয়াই যার একমাত্র পরিনতি।
গোপন কথা যখন নিশব্দে নেমে আসে কাগজের বুকে,
তখন কাগজের বুকে ফুটে ওঠে ফাটল,অসংখ্য ছেঁড়া দাগ কবি আঁকে।

যা ছিল এককাল অকথিত,তা আমরণই থাকা চাই অকথিত।