পৃথিবীর বুকে দাপিয়ে বেড়ানো কুয়াশার প্রতিটি জলকণার পরিমানকে লক্ষ কোটিবার গুনন করলেও আমার ভালোবাসার পরিমাণ পরিমাপ করতে সক্ষম হবে না তুমি।

অগনিত ইউনিভার্সের শত সহস্র গ্রহ নক্ষত্রাদির পরিমাণকেও হার মানিয়েছি আমি আমার ভালোবাসার পরিমাণ দিয়ে।

তোমাকে ভালোবাসি,

আমি ভালোবাসি বাঁচার জন্য অক্সিজেনের তীব্র চাহিদার মতো,হাঁটার জন্য পর্যাপ্ত আলোর প্রয়োজনের মতো।


তোমাকে ভালোবাসি যতটা ভালোবাসা যায় তার চেয়েও বেশি।ভালোবাসি।


তবুও তুমি যদি গুণতে চাও আমি কতটা তোমাকে ভালোবাসি,

তবে তোমাকে গুণতে হবে বিগ-ব্যাঙের পর থেকে কতবার এই পৃথিবীতে এসেছিলো জ্যোৎস্না,কতবার কত প্রাণীর চোখ ভরিয়েছিলো চাঁদ তার জ্যোৎস্না।

অথবা কতবার ঐ চাঁদ প্রদক্ষিণ করেছিলো পৃথিবীকে,পৃথিবী কতবার প্রদক্ষিণ করেছিলো সূর্যকে।

গুণতে হবে কত ফোঁটা বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছিলো এই ভূবণে।

তোমাকে হিসেব করতে হবে মানব সভ্যতার শুরু থেকে কত নারী-পুরুষ একে অপরকে কতটা ভালোবেসেছিলো।

তোমাকে আরো গুণতে হবে কত প্রেমের যুদ্ধে কত প্রেমিক-প্রেমিকারা জয়ী হয়েছিলো।


যতটা অসম্ভব এই গণনা তার চেয়ে অধিকতর জটিল আমার ভালোবাসা পরিমাপ করা।


পৃথিবীর শুরু থেকে জন্মানো সকল বৃক্ষের ডালে গজানো সকল পাতার চেয়েও বেশি আমার ভালোবাসা,সূর্যের তাপমাত্রাকেও খুব সহজেই হার মানিয়েছি অতীব পূর্বেই।

তোমাকে আমার প্রয়োজনীয়তার সম্মুখে,পেছনে ফেলেছি সকল গ্রহাণুপুঞ্জের কাছে আপন কক্ষপথের প্রয়োজনীয়তাকে।


নিজেকে বাঁচাতে যেমন সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার প্রয়োজন উদ্ভিদের,তেমনি আমারও প্রয়োজন তোমাকে।

তোমাকে প্রয়োজন মধ্যাকর্ষণের মতো,

তোমাকে প্রয়োজন জোয়ার-ভাটায় চাঁদের উপস্থিতির মতো,

তোমাকে প্রয়োজন ঝড়ের রাতের শক্ত ছাউনির মতো,

শুধু তোমাকেই প্রয়োজন।


গোধূলির সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে যেমন মেঘের উপস্থিতির কোনো তুলনা হয় না তেমনি আমার ভেতর থেকে লুকায়িত আমাকে বের করে আনতে তোমার উপস্থিতির তুলনা হয় না।

তুমি থাকলে আমাতে আমিই থাকি,আমাকেও আমি ভালোবাসি।