আমি হয়তো ছিলাম অসভ্য-বর্বর-বোহেমিয়া,
কখনো চীন কখনো মিশর কখনো মেসোপটেমিয়া।
যবে থেকে সৃষ্ট ইরাবতী-চন্দ্রভাগা-বিপাশা-ঝিলাম,
মোহনা পর্যন্ত তাদের সঙ্গে আমরা দুজনে ছিলাম।
তুমি হয়তো ছিলে শ্রীলংকার বৌদ্ধ কিংবা সিংহলি,
তোমাকে পেতে সাঁতরে পেরোতাম পক প্রণালী।
তোমার সঙ্গে একই শ্রেণীকক্ষে থাকার আছিলায়,
শিক্ষার্থী হয়ে পড়তাম নালন্দা কিংবা তক্ষশিলায়।
বাড়ির কেউ যেন না বুঝে তাই দেবনাগরী হরফে,
তোমাকে প্রেমপত্র লিখে পাঠাতাম আমার তরফে।
বসন্তের ছোঁয়ায় সেজে উঠে প্রকৃতির বৃন্দাবন,
কিন্তু তুমি ছাড়া আমার জীবনটা যেন কচ্ছের রণ।
তুমি মোহিনী রূপে তোমার সম্মোহনী বাণ চালাও,
বিমানসেবিকা রূপে বিমানযাত্রার সাহস জোগাও।
পাছে তুমি কোনদিন না জানতে পারো কোনকিছু,
জুতো খুলে আমি অন্ধকারে নিতাম তোমার পিছু।
হঠাৎ পায়ের তলায় কিছু একটা বিঁধলো একদিন,
টেনে বের করে দেখি সে যে তোমার সেফটিপিন।
আজও মলম লাগাইনি আমার সেই ক্ষতস্থানে,
এই টনটনে ব্যথা যে তোমার অনুভূতি বয়ে আনে।