তিন দিন ধরে করি না স্নান,
স্নানের কথা বললে বেরিয়ে যায় প্রাণ।
দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে আমার দেহের প্রতিটি অঙ্গে,
অর্ধাঙ্গিনীও তাই শোয় না আমার সঙ্গে।
দরজা খুলে দেখি রোদের দেখা নাই,
গায়ে জল ঢালার সাহস পাইনি তাই।
বিছানায় ঘুমাতে গেলে আসে না ঘুম,
স্বপ্ন দেখি হাতছানি দিয়ে ডাকে বাথরুম।
গিজার বলে,"আমার সুইচ টিপে দিন,
তারপর গরম জলে স্নান সেরে নিন"।
মুচকি হাসতে হাসতে বলে গ্লিসারিন সাবান,
"আমাকে সারা শরীরে ভালো করে লাগান"।
দেওয়ালের হ্যাঙ্গারে ঝুলতে ঝুলতে বলে গামছা,
"আমি থাকতে কোন চিন্তা নেই বাছা"।
যদি পাওয়া যেতো স্নানের জন্য অনুদান,
তাহলে বিবেচনা করতাম করবো কিনা স্নান।
কত সরকারি প্রকল্পের নাম শুনতে পাই,
শীতকালে স্নান করার কোন প্রকল্প নাই।
রোজ যেভাবে নামে থার্মোমিটারে তাপমাত্রার পারদ,
এভাবে চললে কিভাবে আত্মনির্ভর হবে ভারত?!
সরকার যেদিন ঘোষণা করবে স্নানশ্রী পুরস্কার,
আমি সেদিন শুধুমাত্র স্নান করবো আবার।