কার্য্যকাল শেষে বিদায় লইয়াছে শ্রাবণ,
চতুর্দিক ধুইয়া মুছিয়া করিয়াছে পাবন।
উৎসবের উল্লাসে উদ্বেলিত ধান্য শিষ,
পেশ করিতেছে তব নামের সুপারিশ।
ভাদ্রমাসের প্রখর রোদ্দুরে চড়িয়া শকট,
প্রকৃতির ঋতুচক্রে শরৎ হইয়াছে প্রকট।
জলে ভিড় করিতেছে পরিযায়ী বালিহাঁস,
শুভ্রতার আলো ছড়াইতেছে প্রশান্ত কাশ।
একদিকে শিউলি-কলির ধড়ে প্রাণ-স্ফুরণ,
অন্যদিকে বৃক্ষ-পল্লবে সূর্য্যরশ্মির বিচ্ছুরণ।
সমীরণে মেঘের দোলনায় লাগিয়াছে দোলা,
তটিনীতটে ভিড়ন্ত তরণীর জীর্ণ পাল তোলা।
মৌচাক ঘিরিয়া মৌমাছির দল দিতেছে প্রহরা,
শাখায় শাখায় বিহঙ্গ করিতেছে সুরের মহড়া।
সুনির্মল দিবস অতিক্রম করিয়া রজনী নিশুতি,
দেহের সর্বাঙ্গে বিরাজ করিতেছে শারদানুভূতি।