খালি গায়ে ঘোরা আজ অতীত,  
সোয়েটার হাতে হাজির হয়েছে শীত।  
সে যেন সদ্য বিবাহিতা নববধূ,
ভাশুরকে দেখে ঘোমটা দেয় শুধু।
ঝরিয়ে দিয়ে গাছের শুকনো পাতা,
সে প্রমাণ করে তার শালীনতা।
খোঁপায় বেঁধে তার লম্বা চুল,
সে গুঁজে দেয় সরিষা ফুল।  
সারা শরীরে মেখে গ্লিসারিন সাবান,
পুকুরের জলে সে করে ঋতুস্নান।    
ছড়িয়ে তার কুয়াসাচ্ছন্ন শাড়ির আঁচল,    
সোনালী রোদরূপে সে করে ঝলমল।  
নিজেকে দাবী করে রমণী হিন্দুর,
সে পরে রক্তিম সূর্যের সিন্দুর।  
টেনে নামিয়ে ধরে গাছের ডালা,
আসে তার আমলকী খাওয়ার পালা।  
বিকালবেলা মুখে দিয়ে টক চালতা,  
সে পায়ে পরিধান করে আলতা।
সন্ধ্যায় ঘরে ফেরা স্বামীর সম্মানে,
সে পারদ হয়ে নীচে নামে।  
সে জাহির করতে গিয়ে পতিব্রতা,
রাতে শিশিরের শব্দে বলে কথা।