সময়টা ছিলো ইংরেজি ২০০৬ সাল,
স্থান-কল্যাণী স্থিত 'রায় কমার্শিয়াল'।
আমি তখন ত্রিপুরা ইউনিভার্সিটির ছাত্র,
মাস্টার ডিগ্রিতে ভর্তি হয়েছি সবেমাত্র।
শুধু মোটরসাইকেল কেনার স্বপ্ন দেখতাম,
আর প্যাডেল মেরে বাইসাইকেল চালাতাম।
পত্রিকায় টিপিএসসির একটা বিজ্ঞাপন পড়ে,
টাইপ শিখতে কমার্শিয়ালে গেলাম দৌড়ে।
আমি প্র্যাকটিস করতাম টাইপের লেসন,
পাশেই একটি মেয়ে নিতো ডিকটেশন।
তার পায়ে ছিলো উঁচু হিল,
হাতে শর্টহ্যান্ডের খাতা আর পেন্সিল।
তার মাথায় ছিলো হেয়ার ক্লিপ,
ঠোঁটে লাগানো ছিলো পুরু লিপস্টিক।
যেদিন সে বাঁধতো না চুল,
আমার টাইপ করতে হতো ভুল।
তার লেডিজ পারফিউমের মায়াবী গন্ধ,
আমাকে সরবরাহ করতো কবিতার ছন্দ।
এক ঝলক তার দিকে তাকিয়ে,
বুঝলাম সে বনেদি বাড়ির মেয়ে।
তার সেই মৃগনয়নী দুই চোখ,
দেখে আমি রোজ গিলতাম ঢোঁক।
তার সঙ্গ উপভোগ করার আশায়,
আমি বসে থাকতাম অধীর অপেক্ষায়।
যেদিন সে ক্লাসে অনুপস্থিত থাকতো,
হাতছানি দিয়ে যেন আমায় ডাকতো।
তাকে দেখলেই হাত-পা হতো অবশ,
তাই কথা বলার পাইনি সাহস।
আরম্ভটা কিভাবে করবো ছিল চাপ,
তাই তার সঙ্গে হয়নি আলাপ।
আমি বাবার হোটেলে খাওয়া বেকার,
দায়িত্ব নিতে পারতাম না তার।
এভাবেই কেটে গেলো একটি বছর,
কমার্শিয়ালে যাওয়া ছেড়ে দিলাম তারপর।
দু'জনের দেখা হল যেদিন আবার,
আমি ক্লার্ক আর সে স্টেনোগ্রাফার।