শরতের আগমনে বদলে গেছে আবহাওয়া,
আকাশে বাতাসে লেগেছে শারদীয়ার ছোঁয়া।
দিনগুলি ছোট হয়ে আসছে হঠাৎ,
তেমনি বড় হয়ে যাচ্ছে রাত।
চোখ মেললেই চারিদিকে মনোরম পরিবেশ,
মৃৎশিল্পীর কাজ হচ্ছে না শেষ।
ঢাকি বাঁধছে ঢোল আর ঢাক,
কিছুদিন পরেই পড়বে তার ডাক।
কুমোরপাড়া থেকে বেরুচ্ছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী,
মাথা তুলছে বড় বাজেটের প্যান্ডেলগুলি।
আর হাতে গোনা একটি মাস,
ফুটে উঠবে শিউলি আর কাশ।
জন্মাষ্টমীতে অনুষ্ঠিত দেবীর কাঠাম খিলি,
গণেশের মূর্তিতে দ্রুত চলছে তুলি।
লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা,
ধুমধাম করে হবে তাঁর পূজার্চনা।
পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে দেবীপক্ষের মহালয়ায়,
দশভূজা এবার মর্ত্যে আসবেন দোলায়।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে উচ্চারিত মহিষাসুরমর্দিনী,
আকাশবাণীতে বেজে উঠবে মায়ের আগমনী।