আমি মৌমাছিকে প্রশ্ন করলাম,
"তোকে কেন হতাশ দেখায়?"
সে বলল,"মানুষ আমার মধু নিয়ে যায়।"
আমি টিকটিকিকে প্রশ্ন করলাম,
"তোর লেজ কোথায়?"
সে বলল,"মানুষ মেতেছে তার নেশায়।"
আমি তক্ষককে প্রশ্ন করলাম,
"তুই কেন এতো অসহায়?"
সে বলল,"মানুষ আমার ওষুধ বানায়।"
আমি ময়ূরকে প্রশ্ন করলাম,
"তোর পেছন কেন ফাঁকা?"
সে বলল,"মানুষ নিয়ে গেছে আমার পাখা।"
আমি কুকুরকে প্রশ্ন করলাম,
"তুই কেন ডাকিস খালি?"
সে বলল,"মানুষ আমাকে দেয় গালি।"
আমি মুরগিকে প্রশ্ন করলাম,
"কেমন আছিস দোস্ত?"
সে বলল,"মানুষ খায় আমার রোস্ট।"
আমি পাঁঠাকে প্রশ্ন করলাম,
"কেমন চলছে বন্ধু?"
সে বলল,"মানুষ কাটে আমার মুন্ডু।"
আমি ভেড়াকে প্রশ্ন করলাম,
"তোর নেই লজ্জা শরম?"
সে বলল,"মানুষ নিয়ে গেছে আমার পশম।"
আমি গরুকে প্রশ্ন করলাম,
"কি করছিস ভাই?"
সে বলল,"মানুষ করে আমায় জবাই।"
আমি ঘোড়াকে প্রশ্ন করলাম,
"তুই কেন এত ভাবুক?"
সে বলল,"মানুষ মারে আমায় চাবুক।"
আমি গাধাকে প্রশ্ন করলাম,
"তুই দাঁড়াতে পারিস না সোজা?"
সে বলল,"মানুষ আমার উপর চাপায় বোঝা।"
আমি গণ্ডারকে প্রশ্ন করলাম,
"তুই কেন করিস চিৎকার?"
সে বলল,"মানুষ করে আমার শিং শিকার।"
আমি হাতিকে প্রশ্ন করলাম,
"তোর কেন মাথায় হাত?"
সে বলল,"মানুষ নিয়ে গেছে আমার দাঁত।"
আমি বাঘকে প্রশ্ন করলাম,
"তোর মুখ কেন গোমড়া?"
সে বলল,"মানুষ পাচার করে আমার চামড়া।"
আমি সিংহকে প্রশ্ন করলাম,
"তোর ঠিকানা কোথায়?"
সে বলল,"আমি বন্দী মানুষের খাঁচায়।"
আমি গাছকে প্রশ্ন করলাম,
"তোর কি হালচাল?"
সে বলল,"মানুষ কাটে আমার ডাল।"
আমি বাতাসকে প্রশ্ন করলাম,
"তোর কেন বিষণ্ণ মন?"
সে বলল,"মানুষ করে আমায় দূষণ।"
আমি মাটিকে প্রশ্ন করলাম,
"তুই কেন ঊষর ইদানিং"
সে বলল,"মানুষ আমার উপর ফেলে পলিথিন।"
আমি জলকে প্রশ্ন করলাম,
"তুই কেন নস নির্মল?"
সে বলল,"মানুষের দূষণের ফল।"
আমি প্রকৃতিকে প্রশ্ন করলাম,
"তোর কি অভিযোগ?"
সে বলল,"মানুষ ছড়ায় কৃত্রিম রোগ।"
আমি পৃথিবীকে প্রশ্ন করলাম,
"তুই কেন এতো ক্রুদ্ধ?"
সে বলল,"মানুষ করে শুধু যুদ্ধ।"
আমি মানুষের পিতামাতাকে প্রশ্ন করলাম,
"কেমন আছেন মাসিমা মেসোমশাই?"
তারা বলল,"আমাদের বৃদ্ধাশ্রমে হয়েছে ঠাঁই।"
আমি অবশেষে মানুষকেই প্রশ্ন করলাম,
"মানুষ,তুই কেন এতো অমানুষ?"
সে বলল,"আমার নেই মান আর হুঁশ।"