যে সুখের ক্ষারক আর দুঃখের অম্ল ছিল অবদমিত,
অশ্রুর নোনা জলে হইয়াছে তাহা এখন প্রশমিত।
হ্রদয়ের সংবেদনশীল প্রকোষ্ঠ দীর্ঘদিন ছিল বন্ধ,
মৃত আবেগের সঙ্গ ছাড়িয়া চলিয়া গিয়াছে ছন্দ।
বর্ণমালায় পড়িয়াছে ভাঁটা, ভাঙিয়া গিয়াছে শব্দ;
কাগজে জমিয়াছে ধূলা তাই কলমের গতি স্তব্ধ।
ভাবের বহিঃপ্রকাশের পথ বাধাবিঘ্নতায় পরিপূর্ণ,
তাহা কি দূর করিতে সক্ষম হইবে ত্রিফলা চূর্ণ?
কারাগারের আঁধারে বন্দী প্রতিবাদী ভাষার বোল,
তাহাকে কি ছাড়াইতে পারিবে ইসবগুলের ঘোল?
অকাল বার্ধক্যের ভারে ন্যুব্জ সাবলীলতার তারুণ্য,
কি উপায়ে হইবে দূর মোর কবিতার কোষ্ঠকাঠিন্য?