আবেগের হিমবাহ থেকে উৎপন্ন কাব্য নদী,
যার দৈর্ঘ্য মস্তিষ্ক থেকে ডায়েরি অবধি।
মনের উপকূলে অবস্থিত যে বর্ষা বন,
সেখানে সর্বদা হয় কাব্যরসের ধারা নিঃসরণ।
বিশাল হৃদয় জুড়ে বিস্তৃত তার অববাহিকা,
যেখানে কবিতা লিখে আমি চালাই জীবিকা।
কলমের দাঁড় দিয়ে ধরি নৌকার হাল,
শব্দ মৎস্য শিকার করতে ফেলি জাল।    
যখন ভাবনার স্রোতে আসে ভাষার জোয়ার,
সাহিত্য সাধনায় নিজেকে করি আমি উজাড়।  
কিন্তু যখন পড়ে জলে ভাঁটার টান,
আমার অহংকার ভেঙে হয় খান খান।
কবিতা রচনা শেষে যখন ফেলি নোঙর,
নিচে দিয়ে ঠোকর দেয় সমালোচক হাঙর।
শীতকালে যখন শুকিয়ে যায় এই দরিয়া,
হাত-পা ছুড়ে আমি হয়ে উঠি মরিয়া।
বহন করতে না পারলে বিরহের বহর,
যাত্রাপথের প্রান্তে সে গড়ে তুলে বালুচর।
যখন এসে উপস্থিত হয় তার মোহনা,
সে তখন আমায় আর চেনে না।