জীবনে কবিতা ছাড়া আর আছে কি?
তাই যেদিকে তাকাই আমি কবিতাকেই দেখি।
মৌমাছি যখন ফুলেদের সঙ্গে করে পরকীয়া,
সে তখন তাদের কানে শোনায় কবিতা।
বর্ষাকালে যখন শোনা যায় ময়ূরের কেকা,
সেই মধুর ধ্বনিও এক ধরনের কবিতা।
শিশু যখন প্রথম বলতে শিখে কথা,
সেই কথার মধ্যেও লুকিয়ে থাকে কবিতা।
প্রেমিকাকে দেখলে প্রেমিকের যখন জাগে ভালোবাসা,
সেই পূর্বরাগের দীর্ঘশ্বাসেও বিরাজ করে কবিতা।
বাসর রাতে নববধূর কুমারীত্ব হারানোর ব্যথা,
তার সেই গোঙানিতে শোনা যায় কবিতা।
স্ত্রী যখন খায় তার স্বামীর মাথা,
তার ঝগড়ার মধ্যেও প্রকাশ পায় কবিতা।
বাউল যখন বিরহে বাজায় তার একতারা,
তার মাঝে খুঁজে পাওয়া যায় কবিতা।
থালায় পয়সা নাচিয়ে যখন গায় ভিখারিটা,
সেই গান আর কিছুই নয়-কবিতা।
অত্যাচারিতের মুখে যখন জন্মায় প্রতিবাদের ভাষা,
সেই প্রতিবাদী ভাষার নাম হলো কবিতা।