হে জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথি,
তোমার উদ্দেশ্যে আমার এই খোলা চিঠি।
চুপি চুপি কাউকে না জানিয়ে কিছু,
বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে লিচু।
পরিবর্তে এসেছে সুমিষ্ট আর রসালো আনারস,
মুখে দিলেই জিহ্বা হয়ে যায় অবশ।
সীমাহীন অহংকারে অন্ধ পাকা হলুদ আম,
কিছুতেই কমাতে চাইছে না তার দাম।
মুড়ি দিয়ে মেখে খেলে কাঁঠালের কোষ,
স্বাদে আর গন্ধে হয়ে যাই বেহুঁশ।
জামের রঙে রাঙানো প্রিয়তমার তাঁতের শাড়িখানি,
তাই হয়তো তার নাম হয়েছে জামদানি।
কিন্তু এতো সবকিছুর মাঝেও একটাই বিরহ,
আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায় জামাইষষ্ঠীর সম্মোহনী মোহ।
মনে পড়ে ছোটবেলায় প্রতিবার জামাইষষ্ঠী এলে,
মামার বাড়ি যেতাম চড়ে বাবার কোলে।
বাঁশ গাছে সুতো বেঁধে করে পূজন,
জামাইকে খুশি করার হতো বিশাল আয়োজন।
জামাইর হাতে তুলে দিয়ে নতুন কাপড়,
এক কথায় যাকে বলে জামাই আদর।
প্রথমে পরিবেশন করে লঘুপাক শাকভাতের থালা,
তারপরে আসতো মাছ আর মাংসের পালা।
খাবার টেবিলের সব উত্তেজনা আর হইচই,
ঠান্ডা করে দিতো রসগোল্লা আর দই।
বড় আশা করে যখন হলাম জামাই,
জানতে পারলাম শ্বশুরবাড়িতে জামাইষষ্ঠীর নিয়ম নাই।