আমি শৈশবকে দেখেছি-
রাস্তার পাশে শুয়ে থাকতে,
ছেঁড়া কাপড়ে শরীর ঢাকতে।
আমি শৈশবকে দেখেছি-
অনাথ আশ্রমে অসহায় অবস্থায়,
নিঃসন্তানদের দত্তক হওয়ার অপেক্ষায়।
আমি শৈশবকে দেখেছি-
পরীক্ষার ফলাফলে নজর কাড়তে,
অভাবের তাড়নায় পড়াশুনা ছাড়তে।
আমি শৈশবকে দেখেছি-
বাসের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকতে,
গন্তব্যস্থানের নাম ধরে ডাকতে।
আমি শৈশবকে দেখেছি-
ছাতার নীচে বসে থাকতে,
হাতুড়ি দিয়ে ইট ভাঙতে।
আমি শৈশবকে দেখেছি-
রাজমিস্ত্রির সঙ্গে জুগালি থাকতে,
বালির সঙ্গে সিমেন্ট মাখতে।
আমি শৈশবকে দেখেছি-
ট্রেনের কামরায় ঝাড়ু দিতে,
হাত পেতে পয়সা নিতে।
আমি শৈশবকে দেখেছি-
মেকানিকের দোকানে কাজ করতে,
বাইকের টায়ারে হাওয়া ভরতে।
আমি শৈশবকে দেখেছি-
পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে খাটতে,
মাইলের পর মাইল হাঁটতে।
আমি শৈশবকে দেখেছি-
ফেরিওয়ালার রিক্সার হ্যান্ডেল ধরতে,
ভাঙা জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে।
আমি শৈশবকে দেখেছি-
পকেটে ইয়াবা ট্যাবলেট রাখতে,
নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতে।
আমি শৈশবকে দেখেছি-
ছিঁচকে চোর হয়ে যেতে,
ধরা পড়লে গণধোলাই খেতে।
আমি শৈশবকে দেখেছি-
নিখোঁজ সংবাদে হারিয়ে যেতে,
মানব পাচার হয়ে কুয়েতে।
আমি শৈশবকে দেখেছি-
জঙ্গী শিবিরে প্রশিক্ষণ নিতে,
আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ দিতে।