আজ সে কারোর অজানা নয়,
তার পরিচয়-ফুড ডেলিভারি বয়।
টি-শার্টে লেখা সুইগি কিংবা জোম্যাটো,
সে ডেলিভারি দেয় নির্ধারিত সময়মতো।
মোবাইল অ্যাপে খাবারের অর্ডার পেলে,
সে ছুটে রেস্টুরেন্ট কিংবা হোটেলে।
গুগল ম্যাপে দেখে ডেলিভারি লোকেশন,
সে পৌঁছে যায় নির্দিষ্ট ডেস্টিনেশন।
তার পেটে হয়তো খাবার নাই,
তবু গরম খাবার দেওয়া চাই।
খাবারের গন্ধে জিভে জল এলে,
সে খুশি হয় কাস্টমার খেলে।
গুগল পে,ফোনপে কিংবা ক্যাশে,
তাকে পেমেন্ট করা যায় অনায়াসে।
রোদ,বৃষ্টি কিংবা ট্রাফিক জ্যাম;
তার কাজের নেই কোন বিরাম।
যদি ভালো রেটিং দেয় কাস্টমার,
সে পায় আরো বেশি অর্ডার।
পাঁচ টাকা হিসেবে প্রতি কিলোমিটার,
মাসে উপার্জন করে পনেরো হাজার।
সারাদিন বহন করে ব্যাগের ভার,
সে হিমশিম খায় চালাতে সংসার।
করোনার সময় সবাই ঘরে থাকতো,
জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সে আসতো।