গাছ কেটে মানুষ করেছিলো যে ভুল,
তাকে আজ দিতে হচ্ছে তার মাশুল।
হে বৃষ্টি,তুমি দেবরাজ ইন্দ্রের স্নেহধন্যা;
অঝোর ধারায় ঝরে পড়ে ঘটাও বন্যা।
বজ্রবিদ্যুতের শব্দে ঘটলে তোমার ঘুমের ব্যাঘাত,
তুমি বর্ষার বর্শা দিয়ে হানো আঘাত।
জলাশয় থেকে যে জল নিয়েছো ধার,
তা ফিরিয়ে দিতে কেন করছো অস্বীকার?
সুদ আসলের বদলে তুমি দাও ছিটেফোঁটা,
তবুও দিনরাত শুনতে হয় তোমার খোঁটা।
তুমি কখনো কখনো হও এক পশলা,
তাতে কিভাবে হবে এই পৃথিবী শস্যশ্যামলা?
এখনো হয়নি তোমার পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টিপাত,
ব্যাঙ নবদম্পতির পালিত হয়নি বাসর রাত।
উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রত্যন্ত চেরাপুঞ্জি আর মৌসিনরাম,
সেখানে সারাবছর তুমি বর্ষিত হও অবিরাম।
অন্যান্য রাজ্যে তুমি হয়ে উঠেছো পরিত্রাতা,
ত্রিপুরার বেলা তোমার কেন এমন দ্বিচারিতা?
আগরতলার আকাশে যে মেঘ ঘুরে বেড়ায়,
তোমার কথা জিজ্ঞাসা করলে পালিয়ে যায়।
কবির কলমের রিফিল হয়ে গেছে খালি,
তুমি তাতে ঢেলে দাও অনুপ্রেরণার কালি।
তুমি প্রাণ সঞ্চারিণী,মৃতদেহে দাও প্রাণ;
তোমার কি শোভা পায় দোরোখা বিধান?