ধিকি ধিকি জ্বলে হাপরের বাতাসে কয়লার আগুন,
নিঃশব্দেই কেটে যায় কোকিল আর কৃষ্ণচূড়ার ফাগুন।
রাঁদা চালিয়ে সব আশা আকাঙ্খার বাকল ছাড়িয়েছি,
ভাঙা স্বপ্নের টুকরো চোখে ঢোকায় দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছি।
কলম দিয়ে কাটাছেঁড়া করে সৃষ্ট পাণ্ডুলিপির ক্ষত,
তাতে মলম লাগিয়ে কবিতা রচনা করবো কত?
যাকে একদিন দোসর বানিয়েছিলাম সেই ধরে দোষ,
আমি আর করতে চাইনা তার সঙ্গে আপোষ।
যাকে বেশী বিশ্বাস করেছিলাম সেই দিয়েছে ধোঁকা,
তাই ভিতরটা কুরে কুরে খাচ্ছে প্রতিশোধের ছারপোকা।
যে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো ফিরিয়েছে মুখ,
উপভোগ করতে চাই তার অকাল বিয়োগব্যথার সুখ।
এই দয়ামায়াহীন সংসার যে জানেনা ভালোবাসার বালাই,
মানব হ্রদয়টাকে করেছি ইস্পাত ধাতু দিয়ে ঝালাই।
মনের মাহফিলে বাজে না আজ ঝলমল গান,
দিল দরিয়ায় এতো উচ্ছ্বাসেও যেন ভাঁটার টান।
নিজেকে ঘরে বন্ধ করে লাগিয়েছি দরজার ছিটকিনি,
কাউকে খেলতে দেবোনা আমার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি।
বুকে জমা বঞ্চনার বারুদই যখন একমাত্র ইন্ধন,
তাতে আহুতি দিয়ে করছি আমার বাসনার দহন।