আজ সন্ধ্যায় যখন উঠলো ঝড়,
শেষ হলো বহু প্রতীক্ষার প্রহর।
বিদ্যুৎ চলে গেলো দিয়ে ফাঁকি,
তাহলে সে এবার আসবে নাকি?
মিলে গেলো আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস,
বাড়ি ফিরলো বৃষ্টি রানী দাস।
আড়াই দিন কাটিয়ে বাপের বাড়িতে,
সে আসলো আড়াই মাস দেরীতে।
স্বামী সূর্য বিরহবেদনায় হয়ে উন্মাদ,
পৃথিবী জ্বালিয়ে পুড়িয়ে করলো বরবাদ।
কবিতার কথা মাথায় রেখেছিলাম পুষে,
রোদের উত্তাপ নিয়েছে সব শুষে।
জানালা দিয়ে আসা তার ছিটা,
ভিজিয়ে দিয়েছে আমার কবিতার ডায়েরিটা।
অবশেষে পেয়েছি এক শীতলতার সন্ধান,
চারিদিকে বাজছে তার আগমনী গান।
দেহমনে লেগেছে এক অদ্ভুত শিহরণ,
এক অনির্বচনীয় প্রশান্তি করছে বিচরণ।
উদযাপন করতে এই মধুর লগন,
চলো পালন করি বৃষ্টির দ্বিরাগমন।