কে তুমি বলো দেখি হে রাজনন্দিনী,
তুমি কি হবে আমার নজর বন্দিনী?
যদি মেনে নিই তোমার দাবী সনদ,
আমায় কি দেবে তোমার মনের মসনদ?
তোমায় পাওয়া আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য,
তুমি উপস্থিত হলে মনে হয় দেবীপক্ষ।
দূরে দৃশ্যমান দিগন্ত বিস্তৃত শৈল শানু,
গোধূলির আলো ছড়িয়ে সূর্য হয়েছে নতজানু।
আমি যদি শুক তুমি তবে সারি,
দু'জনে মিলে দেবো রূপকথার দেশে পাড়ি।
নিজের উত্তাল যৌবন দিয়েছো যে সঁপে,
তোমার ঐ সাদা অন্তর্বাসের নিরাপদ ঘেরাটোপে।
একটা কথা বলি যদি দাও অভয়,
তোমার স্তনের খাঁজে আমায় দেবে আশ্রয়?
উভয়ের বুকের মাঝে জ্বলছে বহ্নিশিখার আগুন,
তাই এই বর্ষাকালেও মনে হচ্ছে ফাগুন।
হাইড্রোজেন আর অক্সিজেনের মিলনে উৎপন্ন জল,
তোমার চোখের কোণে জমে করছে ছলছল।
আমি তোমার শ্রাবণ,তুমি আমার শ্রাবণী;
মোদের সিক্ত শরীরে নিষিক্ত বাসনার ব্যালকনি।