সকাল সকাল দেখলাম জোড়া শালিক,
মনে পড়লো আজ এক তারিখ।
কিছুক্ষণ আগেই মোবাইলে মেসেজ এসেছে,
পড়ে দেখি অ্যাকাউন্টে স্যালারি ঢুকেছে।
এটিএম থেকে তুললাম কুড়ি হাজার,
সারাটা মাস করতে হবে বাজার।
অপেক্ষায় আছে অ্যামাজন পে লেটার,
পাঠাচ্ছে ঋণ পরিশোধের তারিখের রিমাইন্ডার।
ছেলের গৃহশিক্ষকদেরও দিতে হবে টাকা,
মোটা মানিব্যাগটা হয়ে যাবে ফাঁকা।
স্কুলের বাস ভাড়া,টিউশন ফি;
দিলে আর পকেটে থাকবে কি?
প্রতিবছর দিতে হয় সম্পত্তির বিবরণ,
আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতি থাকলেই মরণ।
টিভিতে কেন্দ্রীয় বাজেট দেখি বারবার,
যদি পাওয়া যায় আয়করে ছাড়।
খেলতে গিয়ে স্টক মার্কেটের ফাটকা,
শেয়ারের দাম কমলে পড়ি আটকা।
মিউচুয়াল ফান্ডে ইনভেস্ট করে অর্থরাশি,
সোনালী ভবিষ্যতের দিবাস্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি।
ডিএ-র দেখা নেই,নেই প্রমোশন;
হয়েছি ব্যবসায়ী আর বেকারের দুশমন।
দ্রব্যমূল্য যেমন বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে,
বেতন বাড়ছে না তাল মিলিয়ে।
এই উপার্জনে কোনমতে করছি জীবনধারণ,
কিভাবে করবো পরিবারের সবার ইচ্ছাপূরণ?
সাধ আর সাধ্যের অসম লড়াই,
পান্তা ফুরালে নুন আনতে যাই।
ব্যাংক লোন নিয়ে করেছি বাড়ি,
সবাই বলে আমি সরকারি কর্মচারী।