জীবনটা আমার কেটে যাচ্ছিলো বেশ ভালো,
রঙীন স্বপ্নের জগতখানা লাগতো জমকালো।
মানতাম না কোন বিধিনিষেধের কড়া শাসন,
নিজের সাথে করতাম সগতোক্তির সম্ভাষণ।
বুঝতাম না বড়দের জটিল কথা ও যুক্তি-তর্ক,
এড়াতে চাইতাম বইখাতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
মাঝেমধ্যে একটু আধটু হতাম অবাধ্য ডানপিটে,
হাতে পায়ে রক্ত জমাট বেঁধে দেখাতো কালশিটে।
প্যান্টের পকেটে ছিল হাতখরচের অফুরন্ত সময়,
মনোরমার মনোরম রূপ দেখে হত মন বিনিময়।
তার সাঁঝবাতির উলুধ্বনি শুনে হতো আমার রাত,
আর সঙ্গীতের রেওয়াজ শুনে হতো আমার প্রভাত।
এভাবেই একদিন পেরোলাম কৈশোরের পাঁচিল,
নিজের অজান্তে কবিতার মৌচাকে দিলাম ঢিল।
শব্দের মরুভূমিতে ছন্দের মরূদ্যান যতই সম্মোহক,
কাব্য পিপাসা বাড়িয়ে তুলে বালিঝড়ের শব্দকুহক।
কবি সম্মেলনের আসরে আমি উপেক্ষিত অশত্থ বট,
করোনার কোলাহলে কেউ শুনেনা আমার ছায়ানট।
মুখ বুঁজে সহ্য করে চলেছি ভাব আর ভাষার জুলুম,
আমার শুধুমাত্র একটাই প্রশ্ন আমি কেন কবি হলুম?