ভালোবেসে যদি একদিন মরে যাই
তোমার চোখের পরে নিভে যাই চিরতরে,
নির্জন গোরস্থানে রেখে এলো একাকী,
হয়তো বা কিছুদিন পরে সবাই গিয়েছে ভুলে;
তখন কেউ আর যায় নাকো কবরের পাশে,
সবাই পৃথিবীর নেশায় শত ব্যস্ততায় ঝিল্লিমুখর,
এমন এক বিভীষিকাময় দিনে আমারে থাকবে মনে।
বেলকনিতে দুটো চড়ুইয়ের আসা যাওয়া,
বাসা বেঁধেছে আমার জানালায় পর্দায়।
বেশ উৎফুল্ল তাহাদের হৃদয়খানা,
যদিও এই পাখি থাকবে না ডিম ফুটিয়ে গেলে ‘পর—
কোন দূর ব্যাকুল বিজন মরুতীর্থে চলে সাবে।
সবাই চলে যাবে সকলেরই চলে যেতে হয় বলে,
তোমার আমার বালোবাসা সাত জনমেও ফুরাবে না
আমি চলে যাবো তুবও রেখে যাবো
আসার ভালোবাসাটুকুন তোমার কাছে!
এখানে মেঘ কাছে মেঘের কোলে রোদ ভেসে উঠে
সমস্ত পৃথিবীরে উজ্জ্বলতার হাতছানি দিয়ে।
তোমারে চাই জন্ম জন্মান্তর ফিরে ফিরে
নীল জোছনায় নক্ষত্রের নীচে
একদিন যেখানে ঢের অন্ধকারে মাতিয়েছি
কালে অকালে যুগল প্রেমের গল্পে!
মরে যাবো রেখে যাবো এইসব স্মৃতিমন্থন,
জানি মরনের পরপারে একবার চলে গেলে
কে কারে মনে রাখে নিঃস্বার্থের দুনিয়ায়।
তবুও তুমি? জানি তুমি রাখিবে মনে,
অনেক কাঁদিবে অনেক হাহাকার করিবে হৃদয়।
কিন্তু তখন তুমি একা নও
আমি থাকবো অশরীরী আত্মা হয়ে থাকবো।
বছল মানব মানবী পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে,
কালে অকালে যুগে যুগে আপনজনরে কাঁদিয়ে,
আজো তারা ফেরেনি পৃথিবীর খোঁজ নিতে,
কেউই যেতে চায় না তবুও যেতে হয়।
সকলেরই যেতে হয় ধীরে ধীরে,
এই মায়া মমতা স্নেহ বন্ধন বিচ্যুত করে।
আমরা আবার মিলিত হবো এক হবো এক সাথে
আজ নয় হয়তো বা সহস্র কোটি বছর পরে,
থাকবে তো অপেক্ষায় সেই অবধি
একটি নতুন সংসার অনন্তকালের পূর্ণতা দিতে,
যেখানে রবে না জন্ম মৃত্যু—
রবে না জ্বালা যন্ত্রনা আর!