আজ সকালটা ছিল সব দিনের মতোই শীতল প্রকৃতি‚
চারিদিকে পাখি কলরব—
মানুষের আসা যাওয়া আঙ্গিনা পথ ধরে!
মুখরিত বসন্ত গুঞ্জন আহা ফুলে ফলে
বেশ অগাধ রোদের দেখা মিলে এ চোখে!
নিবিড় হাওয়া কেমন বইছে
সবুজ সবুজ পাতার স্তনে গায়ে তার।
জননীর হাঁস মুরগী গুলো মাতিয়াছে খেলায়
কখন উঠোনের পানে!
মাঝে মাঝে মনে হয় যেন এইসব প্রাণের মাঝে
যাই হারিয়ে— দূর সমুদ্রের স্বরের মতো
শুনতে পাই লোকগণের মুখের কথা।
কার্তিকের নীল আকাশ যেন আজ
মায়াবিনী রঙে সাজিয়াছে মাথার উপর।
মনে হয় তার কোনো প্রশ্ন জাগিছে
কিন্তু পারে না বলিতে সূর্য দিগন্ত নারী প্রেম!
এ-সব অপলক দৃষ্টিতে
চক্ষু ক্ষুধা মিটে যায় অবনীর ঘরে‚
কবে একদিন এক নারী নিয়েছিল ডেকে
জনহীন নিস্তব্ধ গভীর বনে আমারে‚
নাই কোনো সাড়াশব্দ—
দূর দূরান্তের মাতাল বাতাস
খেলা করে আমার কালো চুল নিয়ে।
এ কথা আজ নয় বহু আগেকার কথা!
দেখেছি বন্যলতা জড়িয়ে আছে তরুর গায়ে‚
পদ্মপাতার মতো এঁকেবেঁকে
কোথায় গিয়ে থামিছে কে জানে!
আমি কি চিনি এদের—
তবুও চোখে পরে ওদের শান্তি নীলক্ষা।
ফুলে ফলে থরে থরে জন-নির্জন বাগানটি
কেমন রংতুলি দিয়ে সাজানো‚
মনে হয় এটি কোনো সাধারণ বন নয় বেহেস্তের অংশ!
খুব চমৎকার পরিবেশ—
দূরদূরান্তের পাখিরা আসে অবসাদ পেতে।
গান গায় কথা বলে আবার চলে যায়‚
সোনালি রোদ হাজার হাজার গাছের সাথে
অথবা পাতার সাথে কিছুক্ষণ নাচানাচি করে
আবার মেঘের কোলে হারিয়ে যায়!
কোথাকার নারী মুখ সে মনে নাই তারে আমার‚
তবুও চোখ ঝলসানো আলো‚
স্বপ্নের রাতে ধরা দেয়‚
তার করুণ জ্যোতির দাজ নিদ্রায় আনে আঘাত।
এ বিশাল পৃথিবীরে সব রূপ করিয়াছে দান
সে যে একদিন চুপেচুপে এসে!