কবে যেন সেই মেয়ে এসেছিল রূপ নিয়ে
পৃথিবীর বিশাল গোল পেটের ভিতর!
তারপর কই গিয়েছে হারিয়ে
জানি নাকো ধরা ছোঁয়ার থেকে।
বলিলাম, সেই নারী কেমন দেখিতে?
বলিম প্রান, চোখ তার মেঘবরন কাজল,
লম্বা বাহারি চুল ভাসে বুনোহাওয়ায়,
আর দুটি হাত যেন সোনায় সোহাদি,
অঙ্গে জ্যোতি— নরম মৃধু ঠোঁট,
সমস্ত শরীর যেন চন্দনের সুভাষে ভরপুর,
স্তন তার ফুলে আছে বুকের উপর,
পারি না আমি চোখ তার দিকে রাখিতে।

বলিলাম, কোথাকার সুদর্শনা সে—
কোথায় পেল সর্পিল সিন্ধু ভরে রূপ
কে দিল তারে ঐশ্বরিক নির্লিপ্ত সুখ!
যখনি জেগে উঠে গভীর মরুদ্যানে তার অপষ্ট ছায়া
সপ্তর্ষি নক্ষত্রের মত যেন এক দীর্ঘ নিঃশ্বাস ঝড়ে যায়—
জ্যান্ত মানুষের মত চিৎকার দিয়ে উঠে,
আজও অশ্বত্থের নীল ছায়ায়
তার স্মৃতি কেঁদে উঠে ধনাশোকের হৃদয় খুঁড়ে,
জানি না এইসব স্মৃতি কতদিন থাকিবে
এইখানে এই পৃথিবীর পারে?
একদিন সব ভালোবাসা মুছে গেলে পরে
আমাদের যেতে হবে সব ছেড়ে বহুদূর,
জানি তখনো রয়ে যাবে পৃথিবীর মানুষ
তার স্বপ্ন নিয়ে কত আশায় বেদনায়,
সুদর্শনার রূপ মুছে যায় মুছে যায় সবার রূপ
আমরা হারিয়ে যাই মাটির পৃথিবীতেই?