সকাল তবুও কুয়াশার ভীড়ে রৌদ্রের নিষ্পলক
অঘ্রাণের ঘাস ভিজে আছে শিশিরে—
রজনীগন্ধা আমাদের প্রাণ চুরি করে নিয়ে গেছে
তারই একটি ফুল তোমার কেশে গাঁথা!
বলিলে তুমি এই ফুল আমার প্রিয়
আমার হাতে লাগানো এই গাছ;
সন্ধ্যার আকাশে যেই নক্ষত্র জেগে উঠে রোজ
তারই মত ফুটে উঠে গন্ধরাজ আমার এ উঠানে!
ভালোবাসি আমি এই ফুলেরে ঢের
যদিও সময়ের কাছে পরাজিত জেনে
কখন ঝরে যাবে আমার চোখের পরে সে—
তুমি তবু ফুল নও শাখা নও এই গাছ!
থেকে যাবে রক্ত মাংসে যতদিন জীবন রবে বেঁচে!
তারপর কত যুগ আর বছর গড়ালো এঁকে এঁকে
এইদিন এইরাত চলে গেল আমাদের থেকে
নতুন করে চোখাচোখি আর কই হলো—
অশ্বত্থের হিজলেরও দিন কবে যেন ফুরিয়েছে
তাহাদের দেখা আমি কই পাই উঠানের সেই গন্ধরাজ!
তুমি কি আছো আমার এ পৃথিবীতে বেঁচে?
শুনছো কি এক বিপর্যস্ত হৃদয়ের আর্তনাদ?
যেমন সমুদ্রের গভীর শব্দে কেঁপে উঠে
তীরের নরম মাটি ফেটে ফেটে দিনে অন্ধকারে!