আজ আমার ভীষণ খরা চলছে—
যে দিকে তাকাই শুধু চৈত্রের দ্বহন
যেন সে আগুনেই জীবন জ্বলছে অগাধ?
এক একবার মনে হয় সব কিছু ছেড়ে
কোথাও চলে যাই দূর নিরুদ্দেশে;
সেখানে মানুষ থাকবে না কোনো
আমার চারপাশ জুড়ে থাকবে
সবুজ সবুজ গাছগুলো কাতারে কাতারে দাঁড়িয়ে
কখনো বা সমুদ্রের গভীর বাতাসে দোল খাবে?
অজস্র পাখির ডানা গুঞ্জরন থাকবে?
তাদের বাঁধ ভাঙ্গা আত্ম উল্লাসে
আমার বিষাদের আত্মা মুহুর্তেই ঠান্ডা হবে।
তারপর মাথার উপর পরে থাকবে
বিশাল এক নীল আকাশ—
কখনো বা পাহাড়ের মত শাদা মেঘ এসে উঁকি দিবে?
আবার দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা আসবে
সমস্ত দিনের ক্লান্ত সূর্যটা
ধীরে ধীরে মুছে যাবে পৃথিবীর থেকে?
একটু পরেই সজিনার আকাশ জুড়ে
জেগে উঠবে লক্ষাধিক তাঁরা গুঁড়িগুঁড়ি চোখে,
যেন দেখে মনে হবে এগুলো তারা নয়,
রূপার বিয়ের সেই ঝাড়বাতি গুলো?
আমি একা দাঁড়িয়ে থাকবো সেই অন্ধকারে
সেই নক্ষত্রের নীচে তাকিয়ে;
আমার জীবনের সমস্ত অভিযোগ গুলো তুলে ধরবো
পাওয়া না পাওয়ার হৃদয় নিঙড়ানো আর্তনাদ!