তুমি কাঁদছো বোকা মেয়ে কোথাকার?
অবশ্য ঠিক এই কান্না একদিন আমারও পেয়েছিল
মনে আছে সেইদিনটার কথা যখন আমি
তোমাকে হারানোর ভয়ে কুঁকড়ে উঠেছিলাম
তাকিয়ে দেখো সেই তারিখটা কেমন বিবর্ণ কালচে!

হঠাত্ কিছুই না বলে একদিনের জন্য
কোথায় ডুবেছিলে হৃদয় ফাঁকি দিয়ে হায়।
সেইদিন মনে হচ্ছিল প্রতিটি মুহূর্ত যেনো আমি
মাতাল নিঃশ্বাসের হাঁকডাকে মারা যাবো
তাকিয়ে দ্যাখো আমার চোখের মণিতে।
সেইদিনটি এখনো তারায় তারায় ভেসে উঠে!

সেই চৌদ্দশ একুশের পুনরাবৃত্তি আজ আমি অনুভব করি
তোমার রক্তমাখা চোখের পানিতে অকাতর।
আমি জানি; তোমার হৃদয় কাঁপেছে!
এই দু’দিনে আমাকে না পাওয়ার অগ্নিতে!

তোমার অশ্রু আমার নামাজের পানির স্রোত
যেই স্রোত নিয়ে রবের কাছে
তোমারে চেয়েছি সহস্র কোটিবার।
আমাকে জড়িয়ে ধরে দেখো বুকের উপর
কিছু একটা তুমি গভীর ভাবে শুনতে পাবে
কিরকম তোমার নাম তসভীর মতো হৃদয়ে পড়ে!

তোমাকে পাওয়ার তীব্র আক্ষেপ নিয়ে
আমার প্রতিটি মুহূর্ত কেটে যায় অভিলাষহীন।
তোমার কাছে রয়েছে আমার হৃদয়
নিশ্বাসে তোমার বেঁচে আছি আমি এই,
অনেক কল্পনার জগত আঁকিয়েছি আমি
পূর্ণতার দিকে ফিরে চাই গভীর অনুভূতিতে!

তুমি বলেছিলে আমি নাকি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারি
কিংবা বিচ্ছেদ হলেও থাকতে পারবো বেশ,
কিন্তু জানো গাছের শিকর ছিড়ে গেলে পর
ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর পথে ধাবিত হয় একদিন।
আমিও সেই গাছ যার শিকর তুমি
যার করুণ অক্সিজেনে আমার ধমনী নিশ্বাস নেই!