আন্তঃনগর এক্সপ্রেসে যখন প্রথম দেখেছি
তোমারে আমি দু’চোখে,
সেদিন ছিল লং জার্নি আমাদের
কেবলই ছেড়ে দিল ট্রেন চাঁদপুর থেকে
ঠিক কাঁটায় কাঁটায় পাঁচটা পনেরো মিনিটে,
আপন ভেসে চলতে রইলো ট্রেন।
কে তুমি? কোথায় থাকো কিছুই জানি নাকো,
যেন তুমি আমার পূর্ব জন্মের পরিচিত একজন
যুগ যুগ ধরে তোমারে দেখেছি আমি,
খোলা জানালা চেয়ে আছো বাহিরে
কান্ত কবির করুণ দৃষ্টিতে।
কেশবতী কন্যা যেন আজ নেমে এসেছে ট্রেনে
তোমার আলোয় আলোকিত জীবন।
নিজেরে আমি প্রশ্ন করি?
কই থাকো গো তুমি?
কোথায় তোমার দেশ?
পাই নাকো কোনো উত্তর।
রাত্রি ভরে কাটায়েছি নদীর বুকে ভেসে
লঞ্চে পারি নিকো এক তিল ঘুমাতে
চক্ষে আমার লেগে আছে ঢের ঘুম।
তোমার কথা ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমাই যাই।
হঠাত্ কখন ঘুম ভেঙে যায়
শত মানসের ভীড়ে,
জাগি দেখি তুমিও রইয়াছ ঘুমিয়ে—
কি তার রূপ মায়াবতীর মায়ার চেহারায়
আর গোলাপ রাঙা ঠোঁট দুটি যেন কাঁপছে
পারি না আমি অক্ষি ফেরাতে।
যদিও এই ট্রেন থেমে যাবে বটতলি স্টেশনে
তুমিও যাবে গো নেমে যে যার পথে,
ওগো অপরিচিতা হল না যে তোমার পরিচয় জানা
অজানাই রয়ে গেল মন পাবনে সে।