তবুও ক্লান্ত শ্রান্ত এ চোখে ম্লান হেসে বলি—
হে অনন্ত আকাশ আমার নিরবধি প্রেমিক—
তোমার বুকে শেষ বিকেলের নিশ্বাস ঝরে‚
মাথার উপর তুমি হেঁসে দুলে কতোবার বয়ে যাও
অজস্র মেঘের নিঃশব্দ শাসনের দাসত্ব নিয়ে!
চক্ষু এই শীতল হয় মুহুর্তেই
পাখির উড়াউড়ি আলপনা দেখে
ঘাসের উপর দেহ নিঙড়ে
কোনো এক অবলা নারীর কথা স্মরণে আসে‚
আমি আজও তারে ভালোবাসি কি না?
আরও কতশত স্মৃতির পাতা ভেসে উঠে সব!
ঘাসের শরীরে আমার দেহ বিছিয়ে
শুয়ে থেকে জেনেছি এ জীবনের বিষাদ;
কতোটা অপরিসীম আর সেইসব
সযত্নে রেখে আসা অতীত লগ্ন‚
তবুও দীর্ঘক্ষণ চেয়ে দেখিয়েছি তোমারে আকাশ
যেন চোখের তৃপ্তি কিছুতেই মিটে না আমার!
পৃথিবীর সব অসুখ এখন আমার কাছে বহমান
পৃথিবীর সব বিষাদ আমার মনে তোলপাড়
হৃদয়ে প্রেমের জলোচ্ছ্বাসে যা হয়েছে একদিন‚
আজও তাই দুমড়ে মুচড়ে বারবার ফিরে আসে
নিঃসঙ্গতায় মৌন আপত্তি কতকাল ঝরে!
হারিয়ে রেখে গেছো আমারে একাকী বিষন্ন করে
তবুও হৃদয়ে যে ব্যথা অঙ্কুরিত হয়েছে;
আজও আমি সেই নিষ্ঠুর বিরহ
শতচ্ছিন্ন আঘাত ঘোচাতে পারিনি—
পৃথিবীর ক্যান্সারে আমার হৃদয় দগ্ধ!
অনেক মুহুর্ত প্রেমের পিছনে ব্যয় করে জেনেছি
এইসব সবই সময়ের অপচয় কেবল‚
আমরা সবাই একদিন ঝরে যাই—
মানুষ কি করে তার অন্য মানুষের জীবন ধ্বংস করে
প্রশ্ন জন্ম দেয় সাবলীল উত্তর নেই কারু কাছে!
অনেক ক্রান্তির বেনোজলে
অন্তিম হেসে পৃথিবীর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছি
কখনো এসে দেখেছি মানুষের ব্যথা
গভীর গভীরতম অনন্ত আকাশে
মুখের ভাষা গান গেয়ে যায়
আমি তবু সেই গানে লাগিয়েছি তাশের স্বাদ।
রক্তিম চোখে তার হতাশার ব্যপ্তি ফিরে আসে
অনেক রাত্রিদিনের ইতিহাস নতুন করে জন্ম নেই
কোথাও কোনো এক পাখিরও হৃদয় ঝরে
নদীর ঢেউ উপচে পড়ে কিনারে ধপাস শব্দে
অনন্ত আকাশে বুঝি এইসব দেখা যায়!